অবশ্যই নামাজ সব উওম ইবাদত 
প্রথমে সালাম নিবেন, 
আসসালামু আলাইকুম!
কেমন আছেন, আশা করি ভালোই থাকবেন। পবিত্র রমজান মাসের আজ ২০ তম রোজা মাগফিরাতের দশদিন শেষ। শুরু হয়ছে নাযাশাতের ১০ দিন। আর সবাই জানেন এই ১০ দিনের মধ্যেই রয়েছে এক হাজার মাসের চেয়ে উওম একটি দিন। পবিত্র শবে কদর।
আর সবচেয়ে বড় কথা মুসলিম জাতির শান্তির সমাধান পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে এই মাসে। সুতরাং এই দিনটির ফজিলত অনেক তাই এই ফজিলত পৃন রাতের নিয়ম কানুন জানা থাকতে হবে।একটা কথা আমি বার বার বলি আগে নিয়ম জানবেন পরে ইবাদত করবে। অনেক সময় দেখাযায় যে, আপনি ইবাদত করছেন কিন্তু ফেরেস্তা আপনার নামে গুনাহ লিখছে। আর কথা না বাড়িয়ে এবার আসল কথায় আসি!! নিয়ম বলছি আগে .....

পবিত্র শবে কদরের নিয়ত  :


নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া’লা রাকআ’তাই ছালাতি লাইলাতিল ক্বাদরি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

নফল নামাজ : ন্যূনতম বার রাকাত থেকে যত সম্ভব পড়া যেতে পারে। এ জন্য সাধারণত সুন্নতের নিয়মে ‘দুই রাকাত নফল পড়ছি’ এ নিয়তে নামাজ শুরু করে শেষ করতে হবে।

এ জন্য সূরা ফাতেহার সাথে আপনার জানা যেকোনো সূরা মেলালেই চলবে। বাজারে প্রচলিত কিছু বইয়ে ৩৩ বার সূরা আল কদর, ৩৩ বার ইখলাস ইত্যাদি উল্লেখ করা আছে। তবে সে নিয়মে পড়লেও অসুবিধার কারণ নেই।

হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ৪ রাকাত নামাজ ক্দরের রাতে আদায় করবে এবং উক্ত নামাজের প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ২১ বার করে সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, আল্লাহ তা’য়ালা ওই ব্যক্তিকে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ করে দেবেন এবং বেহেশতের মধ্যে এক মনোমুগ্ধকর মহল তৈরি করে দেবেন।

জিকির ও দোয়া : হাদিসে যে দোয়া ও জিকিরের অধিক ফজিলতের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো থেকে কয়েকটি নির্বাচিত করে অর্থ বুঝে বারবার পড়া যেতে পারে। ইস্তেগফার (মা প্রার্থনা) ও দরুদ আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কমপক্ষে ১০০ বার ইস্তেগফার ও ১০০ বার দরুদ পড়া যেতে পারে।

এ রাতে নীরবে-নিভৃতে কিছুটা সময় আত্মসমালোচনা করুন, দেখবেন আপনি সঠিক পথ খুঁজে পাবেন। আত্মসমালোচনা আমাদের বিবেককে জাগিয়ে তুলে। আত্মসমালোচনা আত্মশুদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই আগে নিয়ম তারপর নামাজ!! 

Post a Comment

 
Top